Home / অন্যান্য / প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্য: প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও সংস্কৃতি

প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্য: প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও সংস্কৃতি

আসসালামু আলাইকুম. আপনারা সবাই কেমন আছেন! আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনারা সবাই ভাল আছেন।  

আজকের আটিকের আলোচনা করা হবে প্রাচীন বাংলার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য এটা সম্পর্কে এখন বাঙালি হিসেবে আপনার জেনে নেয়া প্রয়োজন। 

বাংলার অনেক প্রাচীন ঐতিহ্য এবং একই সাথে সমৃদ্ধ সংস্কৃতি রয়েছে৷ যা একজন বাঙালি হওয়ার পরেও আমরা অনেকেই জানিনা৷ এবং এরই ধারাবাহিকতায় আজকের এই আর্টিকেল আলোচনা করা হবে প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্য এবং তার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এবং একই সাথে বাঙালি সংস্কৃতি সম্পর্কে। 

যাতে করে আপনি জেনে নিতে পারেন আপনার গোড়া সম্পর্কে এবং একই সাথে এটি যে কারো সাথে শেয়ার করতে পারেন। তাহলে আর দেরি না করে এখনই শুরু করা যাক।  

প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন

প্রাচীন বাংলার বিভিন্ন রকমের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বিদ্যমান রয়েছে। এই সমস্ত নিদর্শনগুলো সে সমস্ত অঞ্চলের সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং সংস্কৃতির সাক্ষ্য বহন করে৷ এবং এই সম্পর্কে আপনি যদি জেনে নিতে পারেন তাহলে সেখানে চলে যেতে পারেন এবং সেই সমস্ত অন্যতম ঐতিহ্যগত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন গুলো উপলক্ষ করতে পারেন৷ 

এই নিদর্শনগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:

মহাস্থানগড়

মহাস্থানগড় হচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম, একটি প্রাচীন নিদর্শন। এটি প্রাচীন পুণ্ড্রবর্ধনের রাজধানী ছিল। আপনি যদি সেখানে চলে যান, তাহলে দেখতে পারবেন এই অঞ্চলের অসাধারণ শিল্পশৈলী বিদ্যমান রয়েছে। যা যে কারো মন কেড়ে নিতে সক্ষম। 

মহাস্থানগড়
মহাস্থানগড়

অন্যতম প্রাচীন নিদর্শন মহাস্থান করে যখন যাওয়া হবে তখন আপনি সেখানে দেখতে পারবেন, বিভিন্ন সময়ে খনন করে প্রাচীন যুগের মূর্তি, শিলা, ঘরবাড়ি ও মুদ্রা পাওয়া গেছে। 

এছাড়াও, এখানে পোড়ামাটির ফলকের প্রাচীন হিন্দু ও বৌদ্ধ সংস্কৃতির নানা নিদর্শন পাওয়া গেছে। এ সমস্ত বিষয়গুলো যখন এনালাইসিস করা হবে তখন দেখা যাবে যে এই জায়গার মাহাত্মক কতটুকু৷ এবং বাঙালির, অন্যতম প্রধান পদ্ধতিতে নিদর্শন হিসেবে এই জায়গাটি ভ্রমণ করা যেতে পারে।

ময়নামতি

এছাড়াও প্রাচীন বাংলার অন্যতম আরেকটি নিদর্শন হলো ময়নামতি ।  এটি প্রাচীন সমতটের রাজধানী ছিল। এখানে রয়েছে স্থাপনা যা যে কারো মন কেড়ে নিতে সক্ষম।  

ময়নামতি
ময়নামতি

এখানে শালবন বিহার, আনন্দ বিহার এবং কুটিলা মুড়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান রয়েছে। এ সমস্ত প্রত্যেকটি প্রত্নতাত্ত্বিক যে কারো মনে জায়গা করে নিতে সক্ষম। এবং এগুলো প্রমাণ করে যে এই জায়গা আগে কিরকম ছিল এবং এখানে মানুষজন আসলে কি রকম ছিলেন। 

এছাড়াও বলা বাহুল্য, এখানে খনন করে বৌদ্ধ বিহার, মন্দির এবং অন্যান্য স্থাপত্যের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। 

পাহাড়পুর

বাংলার অন্যতম আর একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হলো পাহাড়পুর। নিচে থেকে জেনে নেয়া যাক এর কিছু বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। 

পাহাড়পুর
  • আপনি জানলে অবাক হবেন যে, এটি পাল সাম্রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৌদ্ধ বিহার ছিল।
  • এছাড়াও এটির আরেকটি নাম বিদ্যমান রয়েছে, এটি সোমপুর বিহার নামেও পরিচিত।
  • এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ বিহার।

এই সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলো কারণে এটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এবং প্রতিবছর অনেক দর্শনার্থী এখানে ঘুরতে আসেন, যাতে করে তারা এই সমস্ত নিদর্শন গুলো দেখতে পারেন। 

উয়ারী-বটেশ্বর

প্রাচীন বাংলার অন্যতম আরেকটি নিদর্শন হলো উয়ারী বটেস্বর। নিচে থেকে এই জায়গার কিছু বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক: 

আপনি জানলে অবাক হবেন, এটি প্রায় আড়াই হাজার বছরের পুরোনো একটি নগর সভ্যতা।

উয়ারী-বটেশ্বর
উয়ারী-বটেশ্বর
  • এছাড়াও এই জায়গার আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো,এখানে মাটি খনন করে বহু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গেছে।
  • এবং এখানের অন্যতম আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো  এটি প্রাচীন বাংলার একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল।

আপনি যদি প্রাচীন বাংলার এই সমস্ত অসাধারণ শিল্প শরীরের দিকে নজর করেন তাহলে দেখতে পারবেন পূর্বের বাংলার মানুষজন, আসলে কি রকম ছিলেন তাদের আন্দোলন এবং মনোভাব কি রকম ছিল সেটি এ সমস্ত নিদর্শনগুলো দেখলেই বুঝা যায়। 

আশা করি প্রাচীন বাংলার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সম্পর্কে জেনে নিতে পেরেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *