Home / জীবনযাপন / হৃদরোগ প্রতিরোধের উপায়: সুস্থ হার্টের জন্য টিপস

হৃদরোগ প্রতিরোধের উপায়: সুস্থ হার্টের জন্য টিপস

যে কেউ যখন হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যার মধ্যে পড়বেন তখন তাকে বেশ কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয় যাতে করে এটি বৃহৎ সমস্যার কারণ না হয়ে দাঁড়ায়। 

সেজন্য আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করবে এবং এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করবে। এবং একই সাথে এরকম কিছু টিপস দেয়া হবে যা আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে। 

হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

যে কারো যাতে হৃদরোগ না হয় এবং কোন কারণে যদি হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যা হয়েও থাকে তাহলে তার ঝুঁকি কমানোর জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি নেয়া যেতে পারে। 

এবং ব্যক্তি জীবনে বেশ কিছু পরিবর্তন আনার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। এই সমস্ত বিষয়গুলোর মধ্যে থেকে উল্লেখযোগ্য কিছু প্রয়োজনীয় টিপস নিচে তুলে ধরা হবে। 

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে করে তোলা

আপনার বর্তমান খাওয়ার রুটিন কি এবং আপনি কি খাচ্ছেন, সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস করে তুলতে পারেন তাহলে সেটি আপনার যে কোন রোগের অন্যতম প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে। 

সে ক্ষেত্রে আপনি যদি হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যার মধ্যে থাকেন তাহলে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এটি আপনার সমস্যা লাঘব করতে পারে। 

এজন্য প্রয়োজনীয় যে সমস্ত বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে সেগুলো হল: 

ফল এবং শাকসবজি 

প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে ফল ও শাকসবজি খেতে হবে। কারণ ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন মিনারেল এবং ফাইভার তাকে যা হৃদরোগের কমাতে সহায়তা করে। 

সে ক্ষেত্রে নিয়মিত পরিসরে ফল এবং শাকসবজি খাওয়ার জন্য চেষ্টা করতে হবে। যদি প্রতিদিন সম্ভব না হয়, তাহলে একদিন পরপর সেটি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।  

শস্য জাতীয় খাবার: লাল চাল, লাল আটা, ওটস এবং অন্যান্য শস্যজাতীয় খাবার খান। এগুলোতে ফাইবার থাকে, যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এবং যখনই কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে যাবে তখন আপনি স্বাভাবিক অবস্থা উপলব্ধি করবেন৷ 

তাই নিয়মিত পড়েছরে শস্য জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন যা আপনার শরীরকে সুস্থ রাখবে এবং একই সাথে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করবে। 

খাবার ক্ষেত্রে যা এড়িয়ে চলতে হবে

এছাড়াও বেশ কিছু খাদ্য রয়েছে যেগুলো একজন হৃদরোগের রোগী হিসেবে কিনবে একজন স্বাভাবিক রোগীর জন্য স্বাভাবিক পরিমাণে খাওয়ার চেয়ে বেশি খাওয়া খুবই ক্ষতিকর। 

এবং এগুলি হচ্ছে প্রক্রিয়াজাতকরণ খাবার। প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্ট ফুড, চিনিযুক্ত পানীয় এবং অতিরিক্ত লবণ খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

প্রতিদিন ব্যায়াম করা

আপনি যদি প্রতিদিনই একটি নির্দিষ্ট সময়ে ব্যায়াম করেন তাহলে সেটি আপনার শরীর এবং মনকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে এবং সাথে আপনি যদি হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যার মধ্যে সম্মুখীন থাকেন, তাহলে সেটিও সেটি সারিয়ে তুলতে সহায়তা করবে। 

সেজন্য প্রয়োজন মত ব্যায়াম করতে হবে এবং। এক্ষেত্রে আপনি যদি প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট মাঝারি মাত্রা ব্যায়াম করেন,  যেমন দ্রুত হাঁটা সাঁতার কাটা কিংবা সাইকেল চালানোর মতো ব্যায়াম করেন তাহলে সেটি আপনার সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করবে। 

এক্ষেত্রে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে ব্যায়াম করার মাধ্যমে আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবে ওজন নিয়ন্ত্রণ করবে এবং মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করবে। 

ধূমপান পরিত্যাগ করা

যখনই কোন ধূমপাই ব্যক্তি ধূমপান করে থাকেন তখন তার শরীরে স্বাভাবিক অবস্থা বিনষ্ট হয় এবং একজন স্বাভাবিক সুস্থ মানুষ সাথে সাথে অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। 

এখন আপনি যদি হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যার মধ্যে পড়েন তাহলে ধূমপান আপনার জন্য মারাত্মক ক্ষতি কর। জন্য যে কারো জন্য অবশ্যম্ভাবী পদক্ষেপ হলো ধূমপান ত্যাগ করা। ধূমপান ত্যাগ করার মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। 

ওজন নিয়ন্ত্রণ করা

যে কারো যদি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ওজন থেকে থাকে তাহলে সেটি হৃদরোগের কি অনেকাংশে বাড়িয়ে তোলে। সে জন্য অবশ্যই ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং ডায়েট অনুসরণ করতে হবে। 

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। 

মানসিক চাপ কমানো

যদি কেউ মানসিক সমস্যার মধ্যে ভুগেন তাহলে তার যেকোন রকমের রোগ দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই মানসিক চাপ কমানোর প্রয়োজন। মানসিক চাপ কমানোর মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যেতে পারে। 

তাই, যোগব্যায়াম, মেডিটেশন বা অন্যান্য শিথিলকরণ কৌশল ব্যবহার করে মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা

এ ছাড়া বর্তমানে আপনার স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে জানার জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা খুবই প্রয়োজনীয়। বিশেষ করে আপনার অবস্থা যদি খারাপ থাকে এবং একই সাথে আপনার অবস্থা যদি সাথে সাথে ভালো হয়ে যায় তাহলে সেটি আরো বেশি প্রয়োজনীয়। 

নিয়মিত রক্তচাপ কোলেস্টেরল এবং রক্তের শর্করা মাত্র পরিমাপ করুন। এবং এই রোগের জন্য, পারিবারিক ইতিহাস থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। 

এছাড়াও প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানোর চেষ্টা করলে আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যাবে। 

কেউ যদি অ্যালকোহল সেবন করেন তাহলে সেটি তার জন্য খুবই ক্ষতিকারক৷ কারণ অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়৷ এর কোন সেজন্য আপনি যদি অ্যালকোহল সেবন করে থাকেন তাহলে, অ্যালকোহল সেবন একেবারে শুন্যের কাতারে নেমে আসতে হবে৷ 

উপরে যে সমস্ত টিপস এবং ট্রিক্স তুলে ধরা হয়েছে এগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে যে কারো যদি হৃদরোগের সমস্যা সমস্যা থাকে তাহলে সেটি অনেক অংশ কমে যাবে৷ এছাড়াও কারো যদি সমস্যা হওয়ার থাকে তাহলে সেটি রোধ হবে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *